ভোলানাথ শিবশংকর এবং ভষ্মাসুর

অনেক যুগ আগের কথা সারা সৃষ্টিতে ঔঁ নমঃ শিবায় এই সুমধুর ধ্বনি ধ্বনিত হচ্ছে । দেবর্ষিনারদ ব্যাকুল হয়ে পরমপিতা ব্রক্ষার কাছে গেলেন ।ব্রক্ষা বললেন ভষ্মাসুর নামক এক দানব শিবের এ
ই আরধনা করছে । এই মধুর ঔঁ নমঃ শিবায় ধ্বনি তার মুখ থেকে নিঃসৃত হচ্ছে । নারদ বলল কি সুমধুর মন্ত্র তন মন পবিত্র করে দেয় এই ধ্বনি ।ব্রহ্মা   বললেন এই ধ্বনি বেশিক্ষন উচ্চারিত হলে সৃষ্টির বিনাশ হয়ে যাবে । দেবেশ্বর শিবশংকরকে দ্রুত কিছু করতে হবে । নারদ কিছুই বুঝল না ব্রক্ষার কথার অর্থ ।
তিনি প্রশ্ন করতে যাবেন ঠিক সেই সময় ব্রক্ষা চোখ বন্ধ করে ধ্যান মগ্ন হয়ে গেলেন ।নারদ বিষন্ন মনে ব্রক্ষলোক থেকে পৃথিবী লোকের দিকে রওনা দিলেন ।এদিকে ভষ্মাসুরের তপস্যার সাথে সাথে তার তপস্যার তেজ ও শক্তি বেড়ে চলছিল । সমগ্র পৃথিবীতে হাহাকার শুরু হয়ে গেল । তখন শিবশংকর কৈলাস থেকে অদৃশ্য হয়ে ভষ্মাসুরের কাছে এলেন এবং তাকে বর চাইতে বললেন । ভষ্মাসুর বর চাইলেন যার মাথায় ভষ্মাসুর হাত রাখবেন সেই ভষ্ম হয়ে যাবে ।শিব তথাস্তু বললেন । বর পেয়ে অসুরের মাথায় কুবুদ্ধি এল ।ভষ্মাসুর শিবকে বলল বর দিলেন যে এটা সত্য না মিথ্যা তার প্রমান কি ।শিব বলল প্রয়োগ করে দেখ । তখন ভষ্মাসুর বলল সামনে তো আপনি ছাড়া আর কেউ নেই তবে আপনার উপরেই প্রয়োগ করে দেখি । শিব এই কথা শুনে দৌড় দিলেন ।কারন শিবের মাথায় হাত দিলে শিব যদি ভষ্ম হয় তবে সংহার কাজ থেমে যাবে ।আর যদি ভষ্ম না হয় তবে বর মিথ্যা হয়ে যাবে ।
শিব পৃথিবী আকাশ সব স্থানেই দৌড়ে বেড়ালেন কিন্তু ভষ্মাসুর পিছনে পিছনে আসছে । শিব চাইলেই ভষ্মাসুরকে বধ করতে পারে কিন্তু নিজের ভক্তকে নিজে মারা অশোভনীয় । তাই তিনি বধ
ও করতে পারছেন না কি করবে ভেবে না পেয়া দীনবন্ধু করুনাসিন্ধু শ্রী নারায়নকে আহ্বান করলেন । আহ্বানের সাথে সাথে শ্রী হরি প্রকট হলেন ।শ্রী নারায়ন শিবকে গাছের আড়ালে যেতে বলে নিজে মোহিনী অবতার ধারন করল । এরপর ভষ্মাসুর শিবের খোজ করতে করতে সেখানে এলেন এবং নৃত্যরত মোহিনীকে দেখলেন ।মোহিনী রুপ ধারী নারায়নের নৃত্য দেখে সমগ্র সৃষ্টিতে নৃত্যপূর্ন ভাব বিরাজ করছিল । ভষ্মাসুরও মোহিনীর সাথে নৃত্য শুরু করে দিল ।এরপর ভষ্মাসুর নৃত্যর মাঝে এমন মোহিত হয়ে গেল যে কখন নৃত্যর তালে মোহিনীর দেখাদেখি মাথায় হাত রাখল নিজেই বুঝতে পারল না ।মাথায় হাত রাখার সাথে সাথে ভষ্মাসুর ছাই হয়ে গেল । এরপর মোহিনী থেকে নারায়ন রুপে ফিরে আসলেন । তখন শিব নারায়নের স্তব করে নারায়নকে খুশি করলেন এবং দেবেশ্বর শিবশংকর কৈলাসে এবং জগদীশ্বর বিষ্ণু বৈকুন্ঠে প্রস্থান করলেন ।






এই ঘটনা বলার একটাই উদ্দেশ্য অনেকে জানেন যে সাগরমন্থনের সময় বিষ্ণু মোহিনী অবতার নেয় ।এবার জানলেন যে ঐ সাগর মন্থন ছাড়াও বিষ্ণু মোহিনী অবতার নেয় ।এছাড়াও আরও কিছু ঘটনা আছে বিষ্ণুর মোহিনী অবতার নেয়ার ।সব জগতের এবং দেবতাদের কল্যানে ।




এখন সবাই বলুন জয় শিবশংকর ।জয় জয় নারায়ন ।


Comments

  1. এটা ভুল পুরানে লেখা আছে তাকে বর দিলেন কিন্তু পরিক্ষা ও করতে বললেন ।
    পরিক্ষা করার আগে ভগবান নারায়ণ মোহিনি রুপ ধারন করেন তারপর বধ করেন । ভগবান শিব দৌড়ে দেন নি ... আপনি ভুল পরেছেন ।

    ReplyDelete
    Replies
    1. পুরো অংশটুকুই ভুল ভাবে বর্ণিত করেছেন আপনারা.........

      Delete
  2. অমিতবাবু/বলরামবাবু
    আমার জানা অনুযায়ী মোটের ওপর ঠিক আছে।
    আর যদি ভুল হয়, তবে সঠিক টা তো বলুন। ভুল ধরলে শুধরে দিন। নয়তো চুপ থাকুন।
    স্বপন তালুকদার

    ReplyDelete

Post a Comment