অগ্নি হচ্ছেন অগ্নি নামক শক্তির দেবতা। ঋগবেদের সূচনা হয়েছে অগ্নিকে দিয়ে। প্রথম মণ্ডলের প্রথম সূক্তের প্রথম শ্লোকে বলা হয়েছে–;হে অগ্নি যজ্ঞের পুরোহিত এবং দীপ্তিমান । অগ্নি দেবগণের আহ্বানকারী ঋত্বিক এবং প্রভূতরত্নধারী । আমি অগ্নির স্তুতি করি। এই দেবতার উদ্দেশ্যে ঋগ্বেদে দুইশত সূক্ত পাওয়া যায়। অগ্নি ছাড়া যজ্ঞ হয় না, তাই অগ্নিকে বেদে ;পুরোহিত; বলা হয়েছে। ঋগ্বেদের ১।৩১।১ অংশে – অঙ্গিরা ঋষিদের আদি ঋষি হিসাবে
অগ্নিকে উল্লেখ করা হয়েছে। ঋগবেদে অগ্নির উৎপত্তির ঊৎস হিসাবে বলা হয়েছে- অরণিদ্বয় থেকে জন্ম [১।৭।৪] এই কারণে ঋগবেদে অগ্নিকে বলা হয়েছে– দ্বিমাতৃ [১।৩১।২] মহাভারতের মতে– ধর্মের ঔরসে বসুভার্যার গর্ভে অগ্নির জন্ম । ঋক্বেদের মতে– পরমপুরুষের মুখ থেকে অগ্নির উৎপন্ন হয়েছিল । অগ্নিকে পৃথিবীর পুত্রও বলা হয় । দুটি শুকনো কাঠের ঘর্ষণে অগ্নির উৎপন্ন হয় । এই কাঠ দুটিকে অরণি বলা হয় । সুতরাং অরণিদ্বয় অগ্নির পিতা-মাতা । জন্ম মাত্রই অগ্নি তাঁর পিতা- মাতাকে ভক্ষণ করেন । অগ্নিকে জলের গর্ভ বা ভ্রূণও বলা হয়ে থাকে । হরিবংশে আছে – অগ্নির অঙ্গ কালো বস্ত্রে আবৃত , সঙ্গে থাকে ধূম্রপতাকা ও জ্বলন্ত বর্শা । এঁর বাহন ছাগ । এঁর চারটি হাত ।দুই বা ততোধিক অরুণ বা পিঙ্গল বর্ণের অশ্বচালিত উজ্জ্বল রথে ইনি ভ্রমণ করেন । সপ্তবসু এঁর রথের চক্র । অগ্নি পূর্ব-দক্ষিণ কোণের অধিপতি , এই কারণে, এই কোণকে অগ্নিকোণ বলা হয় । ইনি পিতৃলোকের অধিপতি , দেবতাদের জন্য যজ্ঞভাগ বহনকারী এবং দূত ও যজ্ঞের সারথী । অগ্নির সাতটি শিখা আছে । এই শিখাগুলির নাম হলো-
করালী ,
ধামিনী ,
নীললোহিতা ,
পদ্মরাগা ,
লোহিতা ,
শ্বেতা ,
সুবর্ণা ।
অগ্নি রাজা নহুষের মনুষ্যরূপ সেনাপতি ছিলেন। [ঋগ্বেদ ১।৩১। ১০] অগ্নির তিনটি রূপ । রূপ তিনটি হলো – ১. আকাশে সূর্য ,
২. বায়ুময় অন্তরীক্ষে বিদ্যুৎ
৩. পৃথিবীতে আগুন ।
ঋগবেদে অগ্নিকে বিভিন্ন নামে উল্লেখ করা হয়েছে ।
এই নামগুলো হলো –
অর্চিষ্মান ,
ঘৃতপৃষ্ঠ ,
জ্বালাকেশ ,
জ্বালাময় ,
নীলপৃষ্ঠ ,
তীক্ষ্ণ দংষ্ট্রা ,
পিঙ্গলাশ্মশ্রু ,
বৈশ্বানর,
মধুজিহ্বা ,
সপ্তজিহ্বা ,
হিরণাদন্ত ,
হিরণ্যকেশ ।
অন্যান্য পৌরাণিক কাহিনিতে অগ্নির অন্যান্য যে নাম পাওয়া যায়,সেগুলো – অ, অব্জহস্তু , অনল , ছাগরথ , তোমারধর , ধূমকেতু , পাবক , বহ্নি , বৈশ্বানর , ভরণা , রোহিতাশ্ব , হুতভুজ , হুতাশ , হুতাশন । জুহু→জুহু নামে হাতায় করে যজ্ঞে ঘৃতাহুতি দেওয়া হত বলে এর নাম জুহু । পুরোহিত→অগ্নি ছাড়া যজ্ঞ হয় না বলে একে পুরোহিত বলা হয় । প্রমন্থ →দুটি কাঠের ঘর্ষণে অগ্নির উত্পত্তি বলে এর নাম প্রমন্থ । বহুজন্মা →গৃহে গৃহে অগ্নি অধিষ্ঠিত বলে এর নাম- বহুজন্মা। হব্যবাহক →দেবতাদের হব্য পৌছে দেয় বলে , এর নাম হব্যবাহক ।
অগ্নিকে উল্লেখ করা হয়েছে। ঋগবেদে অগ্নির উৎপত্তির ঊৎস হিসাবে বলা হয়েছে- অরণিদ্বয় থেকে জন্ম [১।৭।৪] এই কারণে ঋগবেদে অগ্নিকে বলা হয়েছে– দ্বিমাতৃ [১।৩১।২] মহাভারতের মতে– ধর্মের ঔরসে বসুভার্যার গর্ভে অগ্নির জন্ম । ঋক্বেদের মতে– পরমপুরুষের মুখ থেকে অগ্নির উৎপন্ন হয়েছিল । অগ্নিকে পৃথিবীর পুত্রও বলা হয় । দুটি শুকনো কাঠের ঘর্ষণে অগ্নির উৎপন্ন হয় । এই কাঠ দুটিকে অরণি বলা হয় । সুতরাং অরণিদ্বয় অগ্নির পিতা-মাতা । জন্ম মাত্রই অগ্নি তাঁর পিতা- মাতাকে ভক্ষণ করেন । অগ্নিকে জলের গর্ভ বা ভ্রূণও বলা হয়ে থাকে । হরিবংশে আছে – অগ্নির অঙ্গ কালো বস্ত্রে আবৃত , সঙ্গে থাকে ধূম্রপতাকা ও জ্বলন্ত বর্শা । এঁর বাহন ছাগ । এঁর চারটি হাত ।দুই বা ততোধিক অরুণ বা পিঙ্গল বর্ণের অশ্বচালিত উজ্জ্বল রথে ইনি ভ্রমণ করেন । সপ্তবসু এঁর রথের চক্র । অগ্নি পূর্ব-দক্ষিণ কোণের অধিপতি , এই কারণে, এই কোণকে অগ্নিকোণ বলা হয় । ইনি পিতৃলোকের অধিপতি , দেবতাদের জন্য যজ্ঞভাগ বহনকারী এবং দূত ও যজ্ঞের সারথী । অগ্নির সাতটি শিখা আছে । এই শিখাগুলির নাম হলো-
করালী ,
ধামিনী ,
নীললোহিতা ,
পদ্মরাগা ,
লোহিতা ,
শ্বেতা ,
সুবর্ণা ।
অগ্নি রাজা নহুষের মনুষ্যরূপ সেনাপতি ছিলেন। [ঋগ্বেদ ১।৩১। ১০] অগ্নির তিনটি রূপ । রূপ তিনটি হলো – ১. আকাশে সূর্য ,
২. বায়ুময় অন্তরীক্ষে বিদ্যুৎ
৩. পৃথিবীতে আগুন ।
ঋগবেদে অগ্নিকে বিভিন্ন নামে উল্লেখ করা হয়েছে ।
এই নামগুলো হলো –
অর্চিষ্মান ,
ঘৃতপৃষ্ঠ ,
জ্বালাকেশ ,
জ্বালাময় ,
নীলপৃষ্ঠ ,
তীক্ষ্ণ দংষ্ট্রা ,
পিঙ্গলাশ্মশ্রু ,
বৈশ্বানর,
মধুজিহ্বা ,
সপ্তজিহ্বা ,
হিরণাদন্ত ,
হিরণ্যকেশ ।
অন্যান্য পৌরাণিক কাহিনিতে অগ্নির অন্যান্য যে নাম পাওয়া যায়,সেগুলো – অ, অব্জহস্তু , অনল , ছাগরথ , তোমারধর , ধূমকেতু , পাবক , বহ্নি , বৈশ্বানর , ভরণা , রোহিতাশ্ব , হুতভুজ , হুতাশ , হুতাশন । জুহু→জুহু নামে হাতায় করে যজ্ঞে ঘৃতাহুতি দেওয়া হত বলে এর নাম জুহু । পুরোহিত→অগ্নি ছাড়া যজ্ঞ হয় না বলে একে পুরোহিত বলা হয় । প্রমন্থ →দুটি কাঠের ঘর্ষণে অগ্নির উত্পত্তি বলে এর নাম প্রমন্থ । বহুজন্মা →গৃহে গৃহে অগ্নি অধিষ্ঠিত বলে এর নাম- বহুজন্মা। হব্যবাহক →দেবতাদের হব্য পৌছে দেয় বলে , এর নাম হব্যবাহক ।
nice
ReplyDeletethanks u dada,
Delete